শীতকালীন পর্যপ্ত নতুন সবজি বাজরে এসেছে। কিন্ত দাম সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। কেন দাম কমছে না এ প্রশ্নের সদোত্তর দিতে পারেনি কেউ। ক্রেতারা বলছেন, এখন তো অগের মত বাজারে চাঁদাবাজ নেই। তবুও কেন কমছে না দাম। বাজরে সরকারের মনিটরিং দরকার। বাজারে শিম, ফুলকপি, পাতাকপি, মূলা, ঢেঁড়সসহ প্রায় সব ধরনের শীতের সবজির দেখা মিলছে। রয়েছে বেগুন, পটল, ঝিঙা, করলা, টমেটো, শসা, গাজরসহ অন্যান্য সবজিও। সব সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও ভোক্তা পর্যায়ে দাম কমেনি। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বর্তমান চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে সবজির দাম কমছে না। তাঁরা জানান আগামী ১-২ সপ্তাহের মধ্যে সকল ধরনের সবজির দাম কমতে পারে। তবে তাদের দাবি স্থানীয় সবজির বেশিরভাগ বাহিরে পাচার হওয়ার কারণে বাজারে সবজির দাম কমে না।
সরবরাহ বাড়ায় বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। তবে সরবরাহ সংকটের অজুহাত দিয়ে এখনও বাড়তি দামেই বিক্রি করা হচ্ছে আলু। প্রতি কেজি পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০। আর নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি।বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, কহি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কচুরমুখী ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, শালগম ১২০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৮০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৫০-৬০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা।লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০-৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। সর্ষে শাক ১৫ টাকা আটি। ম্যাথি শাক ২০টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ডজন ডিমবিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা। লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
গুরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। এদিকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা দরে। মাংস বিক্রেতা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন-চার বছর আগেও গরুর মাংস ছিল কেজিপ্রতি ৫০০-৫৫০ টাকা। ওই সময়ও মধ্যবিত্তরা গরুর মাংস কিনে খেতেন। কিন্তু গত এক-দুই বছরে গরুর মাংসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। পৌঁছেছে হাজারের কোটায়।